পাগলের প্রলাপ
–সুবিনয় হালদার
ভালো মন্দের দ্বন্দ্বযুদ্ধে ছন্দ বিহীন জাতি
নীতি নির্ধারণের আঁতুড়ঘরে শিয়াল রাজা- ;
মরছে প্রজা পাচ্ছে সাজা হয়না কোনো গতি !
মিথ্যা ঘরে নিভন্ত বাতি সিঁধেলচোরের খ্যাতি ।
নীতিবিদ-দের নীতিকথা শুনতে শুনতে আর নীতিকর্ম দেখতে দেখতে-
রোজকার নামচায় মনে হয়- হে জনার্দন, কোন্ ধাতুতে তৈরী তব-মন ?
কতকাল এভাবে জীবন্ত লাশ হয়ে পরে থাকবে- !
কতটা জল মাথার ওপরে গেলে তবেই সাঁতরে পাড়ে উঠবে !
অথচ দেখো- তোমারই সামনে
সুনীতি’র গাঙে কুনীতি টপাটপ ডুব মেরে পোসকার হয়ে বলে-
ধ্যাত মশাই, বলে কী বলছেন ? রীতিমত চিৎকার করে-
অন্যেরা সবাই খারাপ- ; সে বেটা ধোয়া তুলসীপাতা- ; এটা একটা কথার ছিরি হলো ?
হাসি পায়- রাগ হয় কিনা আপনারা বলুন- ?
এসব গা-পিত্তি জ্বালা করা বকুমবাজি মার্কা মিষ্টি লোক-গুলোর মুখ প্রত্যহ- প্রতিমুহূর্তে দর্শন করতে কার ভালো লাগে বলুন ?
কিন্তু দেখতেই হবে- ;
সব জেনেশুনেও বিষাক্ত ধোঁয়া জল আপনাকে গাণ্ডেপিণ্ডে গিলতেই হবে !
নিষ্কৃতি নেই আপনার- ;
তা সে আপনি মানুন আর নাই মানুন কারন আপনার মুরোদ কতটা তা আপনি নিজেই ভালো জানেন,
তাই বলছি- ওসব Hero’র মতো পাকামি গেছোমি মারতে না গিয়ে চুপচাপ মুখে কুলুপ এঁটে কানে তালা মেরে ভদ্রজন হয়ে পরে থাকুন !
আর আপনার নাকের ডগায় প্রতিনিয়ত ওই কুনীতি- sorry সুনীতি’র গাঙে ভেসে আসা বা চান করা উপকারী ভালো- মানুষ-গুলো “নেপোয় মারে দই” এর মতো সব খলখলে করে দিচ্ছে- দিক !
আপনি ভাবেন-না-
একদম- চিন্তা করবেন-না- !
সব- ঠিকই- আছে !!
খুব সুন্দর কবিতা। কবিতা তো অনেকেই লেখে , কিন্তু এইরকম লেখা কয়জন লেখার সাহসিকতা দেখায়। আমার ভালো লেগেছে প্রিয় বাচিক বন্ধু।
❤️❤️👍